সনাতন ধর্মের অতি প্রাচীন কিছু প্রশ্ন



প্রশ্নঃ ঈশ্বর এর রূপ কি?
উত্তরঃ তিনি নিরাকার, তিনি মহা শক্তি, তিনি প্রকৃতির শক্তি। মূলত শক্তিই হলেন ঈশ্বর।

প্রশ্নঃ ভগবান এর রূপ কি?
উত্তরঃ সৃষ্টি, স্থিতি তথা প্রতিপালন ও প্রলয় যাঁদের মাধ্যমে পরিচালিত; সেই ত্রিমূর্তি হলেন ভগবান। ব্রহ্মা (সৃষ্টি), বিষ্ণু (স্থিতি তথা প্রতিপালন), শিব (প্রলয়) এই ত্রিমূর্তি সনাতন মতে ভগবান। আবার ভক্ত মনে করেন নিরাকার ঈশ্বরের সাকার রূপ হলো ভগবান; অর্থাৎ ঈশ্বরের কাজ এই ত্রিমূর্তি দ্বারা পরিচালিত হয়।

দেবতা কে?
উত্তরঃ ভগবানের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন শক্তিকে যারা নিয়ন্ত্রণ করার অধিকারী হন তাঁরাই হলেন দেবতা।

প্রস্নঃ অবতার কে?
উত্তরঃ নিরাকার ঈশ্বর তথা সাকার ভগবানের নিদিষ্ট শক্তির মানব রূপ। দুষ্টের দমন, অধর্মকে দুর করে ধর্ম সংস্থাপন এর জন্য ভগবান যখন মাতৃগর্ভে জন্ম নিয়ে তাঁর লীলার মাধ্যমে অধর্মকে ধ্বংস করে ধর্ম সংস্থাপন করেন তখন তাকে অবতার বলে। নির্দিষ্ট কাজ শেষ করে তিনি মূল শক্তির সাথে একীভূত হয়েযান।

প্রশ্নঃ ঋষি কে?
উত্তরঃ সাধনা, ভক্তি ও জ্ঞানের বিকাশ দ্বারা নিরকার ঈশ্বর ও সাকার ভগবানের শক্তিকে অনুভব করেন যারা তাঁরা ঋষি। সনাতন এর সমস্ত দর্শন এই ঋষিদের জ্ঞান দ্বারা সমৃদ্ধ। যুগ ধর্ম প্রতিষ্ঠায় সনাতনের প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন সর্বপরি ধর্ম শিক্ষা ও প্রচারে তাঁদের ভূমিকা ছিল।

সাধক কে?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট শক্তির স্তুতি বা ভগবান বা ত্রিমূর্তির যে কোন এক রুপের স্তুতি বা দেবতার স্তুতি বা অবতার এর প্রতি নিষ্ঠাবান হয়ে যিনি ভক্তি ভরে ইষ্টের আরাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন তিনি সাধক। তাঁরা অর্জিত জ্ঞান দ্বারা সময় ও যুগ উপযোগী মত ও পথের প্রচার করে সনাতন এর জ্ঞান কে সকলের গ্রহণ উপযোগী করে উপস্থাপন করেন।

অসুর কে?
উত্তরঃ সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের চিরন্তন নিয়মকে লঙ্ঘন করে যারা ভক্ত, মানব ও প্রকৃতির ক্ষয় সাধন করেন এবং অর্জিত শক্তির অপ-প্রয়োগ করে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেন তাঁরা অসুর।
সনাতন হলো আদি, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। মূলত সনাতন হলো জ্ঞান ও গুনের সুন্দর সমন্বয় যা চিরন্তন সত্য। জীবের ও প্রকৃতির নিয়মের চিরন্তন প্রকাশ হলো সনাতন। আমার ক্ষুদ্র চেষ্টায় আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর বের করার চেষ্টা করেছি এবং সেটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। আমার ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন।
গর্বের সাথে বলুন আমারা বৈদিক, আমরা সনাতন, আমরা হিন্দু

ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুণ।
Oldest