অবিশ্বাসীরা বেশ মন্দ
ভাবেই এই বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করেন। আমার নিজের মধ্যেও
প্রশ্ন ছিলো। কারণ খুঁজার চেষ্টা করছিলাম অনেক দিন থেকেই। বছর দুয়েক আগে দয়ানন্দ
সরস্বতীর বেদ ভাষ্য পড়তে গিয়ে এর উত্তর পেয়ে গিয়েছিলাম। ঘৃত অসম্ভব
উপকারী একটা দ্রব্য। গরুর দুধ থেকেই তৈরি করা হয় ঘি। অনেক রোগের ঔষধ ঘি।
বৃত্তবানরা ঘি আহার করতে পারেন কিন্তু দরিদ্ররা আহার করতে পারেন না। যেহেতু
অনেক দুধকে শুকিয়ে একেবারে নির্যাস থেকে ঘি তৈরি হয় সেহেতু ঘি এর দাম অনেক
বেশি। দয়ানন্দ সরস্বতী বলছেন অগ্নিতে ঘি প্রদাহ করার ফলে পদার্থ বিদ্যার
নিয়মে ঘি বাষ্পীয় মাধ্যমে বাতাসের সাথে ছরিয়ে
পরে এবং ঘ্রানের দারা সেই ঔষধি গুনাগুন বহুলোকে এক সাথে গ্রহণ করে। আবার যজ্ঞের আগুনকে উজ্জীবিত রাখতে
সহায়তা করে ঘি যেহেতু ঘি এর দাহ্য গুন অনেক
বেশি। তিনি আরো বলেছেন সুগন্ধ যুক্ত বায়ু সব সময় স্বাস্থ্য সম্মত। যে ঘরে সুগন্ধ যুক্ত বায়ুর আনাগোনা থাকে
সেই ঘরে যে সনাতন বেড়ে উঠবে সেই সন্তান
তেজস্বী ও বুদ্ধি দিপ্ত হবে। বায়ুতে যদি ঔষধি গুন যুক্ত সুগন্ধ থাকে তবে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
লক্ষ্য করবেন,
কেরোসিন, ডিজেল বা পেট্রল বা এই জাতীয় তেল দিয়েও
আগুনকে জালিয়ে
রাখা যায় কিন্তু যজ্ঞে দেওয়া হয় ঘৃত আর কর্পূর। অর্থাৎ ঔষধি গুন আছে যে
সব দাহ্য পদার্থে তাই ব্যবহার করা হয় যজ্ঞে। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন গর্বের
সাথে বলুন আমরা বৈদিক আমরা সনাতন।